সার্চ ইঞ্জিন, এসইও, র‍্যাংকিং ফ্যাক্টর ও অ্যালগোরিদম

মানুষের তথ্য জানতে চাওয়ার স্বাভাবিক প্রসেস কি? কিভাবে ইউজার টপিক ভিত্তিক ওয়েব সাইটে যায়?

সার্চ ইঞ্জিন কেন কিভাবে কাজ করে? এবং মানুষ কেন অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিনের উপর নির্ভরশীল!

সাধারণত, একজন ইউজার যখন অনলাইনে কোন ইনফরমেশন জানতে চায়, অথবা কোন নির্দিস্ট প্রডাক্ট বা সার্ভিস কিনতে চায় কিন্তু সে জানে না ওয়েবে ঠিক কোন ওয়েব সাইটে যাবে! অর্থাৎ সেই তথ্যের বা প্রডাক্ট কিংবা সার্ভিসের  জন্য উপযুক্ত কোন ওয়েব এড্রেসে সে চেনে না।

পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশ থেকে এমন কোটি কোটি ইনফরমেশন জানতে চাওয়ার কুয়েরি হচ্ছে প্রতি নিয়ত, যারা কোন স্পেসিফিক ওয়েব এড্রেসে যাবে তা জানে না, অর্থাৎ ওয়েব সাইট এর ঠিকানা সে মুখস্ত জানেই না, কিন্তু তাঁর ইনফরমেশন লাগবে, বা ওর জন্য নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে থাকে যেতে হবে। 

পরিসংখ্যান বলছে, 

There are approximately 22,083,870,968 searches on Google every day. Google processes 255,600 searches per second. 

কিন্তু বাস্তবিক অর্থে, এই সার্চ সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কোন কোন প্রযুক্তিবিদ বলেছে এটা প্রায় ৩গুন। 

তাহলে বুঝতে ই পারছেন। কি পরিমাণ ইউজার সার্চ করছে প্রতিদিন। কিন্তু এরা জানেই না কোন ওয়েব সাইটে যাবে! 

আপনাকে যদি জিজ্ঞাসা করি,

আপনি মুখস্ত কয়টা ওয়েব সাইটের ঠিকানা জানেন? 

আপনি সর্বোচ্চ ৭/৮ টি সাইট ই না হয় এক্স্যাক্ট ওয়েব এড্রেস সহ বলতে পারবেন। যেমন 

facebook.com, youtube.com, prothomalo.com, cricbuzz.com অথবা gmail.com এগুলো ই 

হয়তো। আরও দু একজনকে পাওয়া যাবে যারা তাদের ইন্টারেস্টেড এরিয়াতে এমন আরও ম্যাক্স ২/৩টা ওয়েব সাইটের নাম বলতে পারবে। কিন্তুর বেশি না। কিন্তু মানুষের প্রয়োজন কি সীমিত! 

একবার ভাবুন 

পৃথিবীতে কোটি কোটি ইনফেরমেশন জানাতে চাওয়া ইউজারের কুয়েরি গুলো কয়টা ওয়েব সাইট এর নাম আর url জানে! তাহলে তাঁরা কিভাবে ইনফরমেশন খুঁজে পায়, খুঁজতে কোথায় যায়? অথবা সাইট এড্রেস কই পায়। অনলাইনে সেবাই বা কিভাবে নেয়! 

এই কোটি মানুষ কিন্তু লাখ লাখ ওয়েব সাইট মনে না রাখলেও গুগলকে google.com কে মনে রাখতে পারে। সাড়া দুনিয়া গুগলে চেনে, কারণ এরা ওই ভাবেই ব্রান্ডিং করেছে, মানুষ তাদের এক নামে ই শুধু না web ঠিকানা সহ জানে। সহজাত ভাবেই ইনফরমেশনের প্রয়োজনে তাঁরা সার্চ ইঞ্জিন গুগল ব্যবহার করে নির্দিস্ট ওয়েব সাইট ঠিক খুঁজে নেয়। 

তাহলে সার্চ ইঞ্জিন নিশ্চয় আগে থেকেই তথ্য গুলো ওয়েব সাইট এর url সহ তাদের ডাটাবেসে রেখে দেয়, এবং যে যেই কোন ইউজার তথ্য খুঁজে তাকে সে তথ্য দেখায়, ওয়েব সাইটের এক্স্যাক্ট ঠিকানা বা url দেখিয়ে দেয়। 

এবার আরেকটু ক্লিয়ার করে বুঝুন, সার্চ ইঞ্জিন হলো একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন যা ইন্টারনেটে বিষয়ভিত্তিক তথ্য সন্ধান করে এবং ব্যবহারকারীদের জন্য সংগ্রহ করে রাখে। এবং যখনি ব্যবহারকারী ঐ তথ্য জানতে চায় তাকে ঐ তথ্য কোথায় কোন ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবে তাঁর পেইজ লিঙ্ক সহ হাজির করে দেয়। 

কয়েকটি সার্চ ইঞ্জিন

গুগল, ইয়াহু, বিং, পিপীলিকা, ডাক ডাক গো ইত্যাদি । এগুলোর মধ্যে গুগল ব্যবহার করে তথ্য বা ওয়েব সাইট ব্রাউজ করে ৮৭% ইউজার, আর অন্য ১২-১৩% মার্কেট শেয়ার মূলত বিং এর। পার্থক্যটা বুঝতেই পারছেন। সার্চ ইঞ্জিন বলতে গুগল ই মেইন। 

বিশেষ কিছু তথ্য

সার্চ ইঞ্জিন ম্যাক্সিমাম ৯৯০ টি রেজাল্ট দেখাতে পারে। 

পার পেইজে ১০টি রেজাল্ট সে দেখায়। তাহলে ম্যাক্সিমাম ৯৯টি পেইজ সার্চ ইঞ্জিন দেখাতে পারবে। 

এগুলো সার্চ ইঞ্জিনের নানান টপিক বা নিস এবং ইনডেক্স অনুযায়ী কম বেশি হবে, হয়। 

নিচের এগুলোকে অর্গানিক রেজাল্ট বলে। এখানে ওয়েব সাইট লিস্টেড হতে সার্চ ইঞ্জিনকে কোন টাকা দিতে হয় না।  

সার্চ ইঞ্জিনে এমন ১০টি ওয়েব সাইট দেখাবে। এগুলো ই মূলত সার্চের বিপরীতে ওয়েব সাইট / পেইজ গুলো। 

পেইজের শেষে পরের পেইজে যাওয়ার জন্য অপশন পাবেন। ১, ২ , ৩ next এভাবে। অর্থাৎ যত গুলো পেইজ এভেইলএবল আছে দেখাবে। 

নিচের ছবির মত।

কোন একটা কুয়েরির বিপরীতে সার্চ ইঞ্জিনের এই রেজাল্ট পেইজ গুলোকে বলা হয়, SERP

Search Engine Result Page

আর কোন একটা কুয়েরিতে কোন পজিশনে একটা সাইট আছে সেটা বুঝাতে SERPs অবস্থান __ বলে। 

যার অর্থাৎ Search Engine Ranking Positions

কোন কোন সার্চের সাথে লোকেশন বা কোন লোকাল সার্ভিস যুক্ত করলে, অর্গানিক ১০ টি রেজাল্টের উপরে ৩/৪টি লোকাল ম্যাপ রেজাল্ট দেখবেন, এগুলো অর্গানিক রেজাল্ট পেইজ নয়। এগুলোকে বলা হয় লোকাল সার্ভিস প্যাক, অথবা গুগল জিবিপি/জিএমবি রেজাল্ট অথবা গুগল ম্যাপ থেকে রেজাল্ট। ইমেইজ দেখুন 

আশা করি সার্চ ইঞ্জিন কি? এবং কেন মানুষ ব্যবহার করে বুঝলেন। এবং আমরা নিশ্চিত হলাম আমরা ইউজার হিসাবে সার্চ ইঞ্জিনের উপর নির্ভরশীল। 

এবং সার্চ ইঞ্জিনে কিভাবে তথ্য ডিসপ্লে করা হয় এটাও জানলেন। 

এখানে আমরা এও বুঝলাম সার্চ ইঞ্জিনের কাজ হচ্ছে নানান টপিকের ওয়েব সাইট গুলো খুঁজে তাদের ডাটাবেসে লিস্টেড করে রাখবে।

আর ইউজাররা যেহেতু মুখস্ত ওয়েব সাইট চেনে না বা জানে না, তাঁরা টপিক ধরে সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে সার্চ করলে ঐ বিষয়ের ওয়েব সাইট url হাজির করবে গুগল সার্চ ইঞ্জিন। 

সার্চ ইঞ্জিনের মূল কাজ তাহলে আমাদের কুয়েরি অনুযায়ী তথ্য সমৃদ্ধ ওয়েব সাইট বা ওয়েব সাইটের পেইজের ঠিকানা সহ সাইট আমাদের দেওয়া যাতে আমরা সেখানে ভিজিট করে আমাদের খোজকৃত তথ্য নিতে পারি, বা প্রয়োজনীয় কোন প্রডাক্ট বা সার্ভিসের কেনাকাটা করতে পারি। 

এখন আমাদের মাথায় নিশ্চয় একটা প্রশ্ন ঘুরছে? 

সার্চ ইঞ্জিনের লাভ কি এভাবে আমাদের ওয়েব সাইট এর ঠিকানা খুঁজে দিয়ে। 

একচুয়ালি ওদের ব্যবসায়টা এড থেকে অর্থাৎ এডভার্টাইজমেন্ট কেন্দ্রিক। 

আমরা যখন কোন টপিকে সার্চ দেই, কিছু লোক প্রথম পেইজের রেজাল্ট গুলোর উপরের দিকে এড দেয় ঐ টপিকে। যাকে গুগল পিপিসি বা পেইড এডস বলে। 

এই ছবিতে দেখুন। এই রেজাল্ট গুলোর পাঁশে লেখা আছে স্পন্সর। এগুলো গুগল এডস। এগুলো থেকে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবসায় করে। এই লিস্টিং গুলো গুগলকে টাকা দিয়ে এখানে এসেছে। এটা এসইও’র অংশ নয়।  

তাই ওদের যেহেতু এভাবে সার্চ করিয়ে এড নেওয়ার সুযোগ আছে এজন্য ওরা আমাদেরকে ফ্রি তথ্য ও তথ্য সমৃদ্ধ ওয়েব সাইট খুঁজতে দেয়, দিতে পারে। গুগল কোম্পানির ৮৩% আয় আসে এই এডস থেকেই। 

তাদের এত এত ওয়েব সাইট লিস্ট করে রাখতেও কিন্তু হিউজ পরিমান সার্ভার ব্যয় হয়। যেখানে তাঁরা এই ওয়েব সাইট ও অন্যান্য সকল তথ্য লিস্ট করে রাখে, কোম্পানির অন্যান্য কাজ আঞ্জাম দেয়। 

 যাক আশা করি এই ব্যাপারটাও ক্লিয়ার হল। 

সার্চ ইঞ্জিনের এক্টিভিটি ভালো ভাবে পর্যবেক্ষন করলে আমরা দেখছি এখানে মোট ৩টা মূল পার্টি বা স্ট্যাকহোল্ডফার। 

  • এক পক্ষ আমরা যারা ইনফরমেশণ নিতে ওয়েব সাইটের লিঙ্ক খুঁজছি। 
  • আরেকটা পক্ষ হচ্ছে যারা ওয়েব সাইট গুলো বানায়, যাদের ওয়েব সাইট থেকে আমরা তথ্য নেই। 
  • আর ৩য় পক্ষ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন, যারা এই দুই পক্ষ কে এক সাথে ক রে। 

(৪র্থ আরেকটা পক্ষ আছে আমরা পরে বলছি তাদের নাম) 

ক্লিয়ার হলাম নিশ্চয়, ইউজার তথ্যের জন্য ওয়েব সাইট খুঁজছে আর ওয়েব সাইটওনারের দরকার যারা এই তথ্য খুঁজছে এমন ভিজিটর বা কাস্টমার। 

আমরা এতক্ষণ ইউজারের পার্সেপেক্টিভ থেকে বুঝতে চেষ্টা করেছি। কেন আসলে তাদের সার্চ ইঞ্জিন দরকার। রাইট? 

এবার আমরা আরও যে একটা পক্ষ আছে, গুরুত্বপূর্ন পক্ষ যারা ওয়েব সাইট তৈরি করছে, ইনফরমেশণ দিবে দিচ্ছে কিংবা প্রডাক্ট বা সার্ভিস সেইল করছে। তাদের পার্সেপেক্টিভ থেকে বুঝতে চেষ্টা করি। 

ইনাদের ত ট্রাফিক/ভিজিটর লাগবে রাইট? 

একটু ভালো ভাবে বুঝুন, ওয়েব সাইট ওনাররা তাদের নির্দিস্ট টপিকে ওয়েব সাইট খুলবে। ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর সাথে সাথে তারা অনলাইন মার্কেটিংও করতে চাইবে ব্যবসায়িক পরিধি বাড়ানোর জন্য। 

আর অনলাইনে যেহেতু একটা লার্জ গ্রুপ ওয়েব সাইট এর ঠিকানা জানে না, তাঁরা যায় সার্চ ইঞ্জিনের কাছে। 

একজন লোক যেহেতু কোন ওয়েব সাইট সম্পর্কে জানে না তাঁর কিন্তু আর উপায় নেই যে সে ডিরেক্ট মুখস্ত কোন ওয়েব সাইটে যাবে, কারণ সে এক্স্যাক্ট url জানে না তাকে অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন ই ব্যবহার করতে হবে। তাহলে বুঝা যাচ্ছে ইউজারের তথ্যের ওয়েব সাইট url লাগবে ই। ওয়েব সাইট ওনার কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন থেকে হিউজ অপরচুনিটি পাচ্ছে যে সে তাঁর ব্যবসায়ের মার্কেটিং অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে ওই ইউজারদের ট্রাফিক, লিড বাঁ সেইল হিসাবে নিজের সাইটে আনতে সক্ষম হবে। 

এমন একটা মার্কেটিং চ্যানেল যেখানে সে ফ্রি ফ্রি ট্রাফিক পেয়ে, প্রডাক্ট বা সার্ভিস সেইল করে ব্যবসায় বড় করতে পারছে যেখানে ইউজাররা উইলিংলি তাঁর ওয়েব সাইটে যাবে। ঠিক না? 

তাহলে এই ওয়েব সাইট গুলো কি সার্চ ইঞ্জিনে লিস্টেড হতে চাইবে না? 

আপনার কি মনে হয়!  অবশ্যই চাইবে সার্চ ইঞ্জিনে লিস্টেড হতে।
কারণ এখানে তাকে কোন ফি দিতে হচ্ছে না সার্চ ইঞ্জিন কে, সার্চ ইঞ্জিন নিজের ইচ্ছাতেই সাইট লিস্ট করছে ইউজারকে দেখানোর জন্য। আর ওরা ফ্রি ফ্রি ট্রাফিক পাচ্ছে, বাড়ছে তাদের লিড ও সেইল। 

আমরা বুঝলাম, ওয়েব সাইট ওনারদের জন্য সার্চ ইঞ্জিনে লিস্টেড থাকা খুব ই গুরুত্বপুর্ণ। 

এবং ডিজিটাল মার্কেটিং যেই কোম্পানি ই করতে চাক না কেন তাকে সার্চ ইঞ্জিনকে একটা বড় ট্রাফিক মেথড হিসাবে মানতে হবে। এখান থেকে ট্রাফিক পেলে তাঁর ইনফরমেশন মানুষ দেখবে, সেইল হবে তাঁর প্রডাক্ট বা সার্ভিস। 

আমরা উপরে জানিয়েছিলাম সার্চ ইঞ্জিন ৯৯০ টা রেজাল্ট ম্যাক্সিমাম আনে। তাহলে বুঝা যায় আরও লাখ রেজাল্ট বা ওয়েব সাইট url একই টপিকে থাকতে পারে। আবার এও বলেছি প্রতি পাতায় ১০ জন থাকে। 

কি বুঝলেন। এখানে নিশ্চয় একটা র‍্যাংকিং বা পজিশনিং সিস্টেম আছে। 

অন্যথায় প্রথম পাতায় যাদের আনে তাঁরা এমন বিশেষ কে বা কারা যে তাদের প্রথম পাতায় আনবে? 

অথবা অন্য সাইট গুলো দোষ করলো যে তাঁরা পরের পেইজ গুলোতে থাকবে? 

এখানে দুইটা প্রশ্ন বাঁ নিজের কাছেই প্রশ্ন আমাদের! 

যে ওয়েব সাইট গুলো যদি গুগলে এড দেয় তাহলে তাঁরা শুরুতে থাকে, কিন্তু এটা ত এড পজিশন। 

কিন্তু আমরা ত বলেছি অর্গানিক পজিশনের কথা, যেখানে ওয়েব সাইট শুরুর দিকে থাকবে। তাহলে তাঁরা কিভাবে সেখানে আসলো? 

গুগলের তাদের কে এক্সট্রা খাতির করার কারণ কি ? 

অথবা গুগলে এমন কি রুলস রেগুলেশনস আছে যে তাঁরা মেনে চলল আর প্রথমে থাকল? আর যারা মানেনি তাঁরা শেষের দিকে! 

এমন কিছু বিষয় অবশ্যই ভাবনার। 

আচ্ছা আসুন কিছু স্টাটিস্টিক্স দেখি। 

সার্চ ইঞ্জিন Aol একটা পরিসংখ্যানে বলেছে ৯৩% ইউজার প্রথম পাতার ১০ রেজাল্ট url থেকে সেটিস্ফাই হয়। অর্থাৎ তাঁরা প্রথম পাতার ওয়েব সাইট গুলো থেকে তথ্য নিয়েই হ্যাপি, তাঁরা আর ১০ র‍্যাংকিং এর পর ২য় পাতায় যায় না। 

বুঝলেন কিনা! মানে তাবৎ দুনিয়ার যত সার্চ আছে সার্চ ইঞ্জিনে হয়, তাঁর ৯৩% ইউজার ই ২য় কোন পাতায় যায় না তথ্য খুঁজতে, প্রথম পাতার ১০ ওয়েব সাইট url থেকেই তথ্য নেয়। তাহলে বুঝা গেলো ২য় পাতায় যেই ওয়েব সাইট গুলো আছে থাকছে, তাদের কোন বেইল নাই, খানা নাই। ওরা ট্রাফিক বাঁ ভিজিটর পায় না বললেই চলে। 

ধরুন আপনি নিজেই ফ্যাশন রিলেটেড একটা ওয়েব সাইট এর মালিক। এখন এই সাইট যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে এসে সার্চ ইঞ্জিনে লিস্টেড থাকে কিন্তু কোন ট্রাফিক বা ভিজিটর না পায় তাহলে ব্যপারটা কেমন? 

এই ওয়েব সাইট গুলোর কিন্তু চেষ্টা ই থাকবে রুলস মেনে হোক যাই করে হোক প্রথম পাতায় অবস্থান করা। তাহলেই তাদের ব্যবসায় বাড়বে । 

এবার আপনাদের আরেকটা তথ্য দেই। 

৬০% সার্চ ইউজার ১-৩ নাম্বার পজিশন গুলোর ওয়েব সাইটে ই ব্রাউজ করে। এর মানে প্রথম পেইজে থাকলে চলবে না আপনি ওয়েব সাইট ওনার হলে আপনাকে ১-৩ নাম্বার পজিশনে থাকতে হবে, সিংহ ভাগ ট্রাফিক সিকিউর করতে। অন্যথায় আপনি ট্রাফিক বা ভিজিটর  ই পাবেন না বলা যায়। 

শুনুন ৬,৭,৮,৯ ও ১০ এর আশা করলেও বোকামি। এখানে থাকলে আপনি মাত্র ম্যাক্স ৭% ট্রাফিক পেতে পারেন। 

এখন আমাকে বলুন একটা ওয়েব সাইট ওনার যদি অভারল তাঁর টপিক সার্চের মাত্র ৭% ট্রাফিক পায় তাহলে কি সে ব্যবসায়ে টিকে থাকতে পারবে? 

নিশ্চয় পারবে না। 

তাহলে তাকে কি করতে হবে? 

১-৩ নাম্বার পজিশন যে কোন মূল্যে সিকিউর করতে হবে। 

তাহলে সে ৬০% ট্রাফিক পাবে। মানে সিংহ ভাগ ট্রাফিক। 

আপনারা কেউ কেউ ভাবছেন ১, ২, ও ৩ কিভাবে একই সাথে ৬০% ট্রাফিক পাবে। জ্বি অবশ্যই পাবে 

কারণ সার্চারের ফিত্রাত/বৈশিষ্ট্য হচ্ছে শুধু ১ নাম্বারে পজিশনের সাইটে সে ক্লিক করে না। সে একই সময়ে ২/৩ টা ওয়েব সাইট ওপেন করবে যাতে সব চেয়ে ভালো তথ্য পায়, অথবা তাঁর কাঙ্ক্ষিত প্রডাক্ট বা সার্ভিস সে পায়।  

এজন্য ১-৩ এ যারা ই থাকবে তাঁরা এভারেজ ৬০% ট্রাফিক ই পাবে। জ্বি সবাই পাবে। 

এখন একটা ওয়েব সাইট ওনার যাদের আমরা ওয়েব মাষ্টার বলি, এরা নিশ্চয় চেষ্টা করবে ব্যবসায় বাড়ানোর খাতিরেই ১-৩ এ পজিশন আসার, তাই না?  

এবং এজন্য যা যা করতে হয় সে করবে। 

এই যে ওয়েবসাইট গুলোর সার্চ ইঞ্জিনে ১-৩ এ পজিশন আসার চেষ্টা, অর্গানিক ট্রাফিক পাওয়ার চেষ্টার বিপরীতে যে কাজ তাকে ওয়েব সাইট এ করতে হয় একেই মূলত এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বলে । 

SEO শব্দের অর্থ Search Engine Optimization। SEO বলতে বোঝায় যে পদ্ধতির মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট এবং তাকে খুজতেছে এমন টপিক সার্চ গুলোকে সার্চ ইঞ্জিনেকে র‌্যাংকিং করানো হয়, হবে। 

সার্চ ইঞ্জিনের কিছু নিয়মকানুন আছে যা অনুসরণ বা প্রয়োগ করলে সার্চ ইঞ্জিন কাঙ্ক্ষিত ওয়েব সাইটটিকে গুরুত্বপূর্ণ ভেবে এবং র‌্যাঙ্ক করে থাকে। যে যত ভালো নিয়মনীতি মানে সে তত ভালো র‍্যাংক করবে। 

সার্চ ইঞ্জিনের এই নিয়ম কানুনকে বলা হয় Google Algotithm 

একটা ওয়েব সাইট ওনারের পক্ষে সব সময় এই সব Algorithm জেনে ওয়েব সাইটকে গুগলে ১-৩ র‍্যাংক করা পজিবল হয় না, কারণ সে ত সাবেজক্ট ম্যাটার এক্সপার্ট না, তাঁর এক্সপার্টিজ ভিন্ন মূলত তাঁর নির্দিস্ট ব্যবসায়ে। 

মনে আছে এক জায়গা বলেছিলাম, সার্চ ইঞ্জিনের সাথে যুক্ত ৪টা পার্টি, আমরা ওখানে ৩টি পার্টি উল্লেখ করেছিলাম। 

এখন ৪র্থ পার্টিটাকে একটু চিনি, ৪র্থ স্টাকহোল্ডার হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজাররা যারা মূলত সার্চ ইঞ্জিনের রুলস গুলো শিখে, জেনে বুঝে ওয়েব সাইট গুলোর এসএইও করে দেয় নির্দিস্ট ফি এর বিনিময়ে।   

এসইও  বলতে যেহেতু কোন ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজকে সার্চ ইঞ্জিনে ভালো পজিশনে র‌্যাঙ্ক এ নিয়ে আসা বুঝায়, যেনো কেউ সার্চ করলে সহজেই তা খুঁজে পায় নির্দিস্ট ওয়েব সাইট url হিসাবে একেবারেই সার্চের প্রথম দিকে। 

প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিন স্বতন্ত্র কিছু নিয়মকানুন আছে, যা অনুসরণ করে একজন এসইও এক্সপার্ট তার অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে একটি ওয়েব সাইট বা পেজকে র‌্যাঙ্ক এ নিয়ে আসেন। যারা ৪র্থ পার্টি। 

আমরা এসইও শিখে মূলত এই ৪র্থ পার্টি হব। 

আশা করি বুঝেছেন। 

এবার আমরা জানবো… 

সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে?

সার্চ ইঞ্জিনের তিনটি প্রাইমারি ফাংশন রয়েছে। 

সেগুলো হলো- ক্রল, ইন্ডেক্স, এবং রাঙ্ক (এর আবার দুই পার্ট, প্রথমে প্রসেস করবে কোন ওয়েব সাইট বা পেইজ কোন পজিশনে রাখতে হবে, দেন সার্চ রেজাল্ট দেখায় ইউজারের কুয়েরি অনুযায়ী পজিশন)। 

নিচের ছবিটা দেখুন 

প্রথমে কোন তথ্য খুঁজতে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে নিজস্ব ক্রলিং সিস্টেম, ওয়েব পেইজ url খুঁজতে যায় যেখানে আগে থেকে ই ঐ পেইজটা ইন্ডেক্স করা আছে সেখানে। 

অর্থাৎ নতুন কোন পেইজ তখন ই ক্রাউলার খুঁজে নিবে যখন অন্য কোন পেইজে আগে থেকেই এই লিঙ্ক বা ওয়েব সাইটের পেইজ টা লিঙ্ক বা url এড করা থাকবে। 

ওয়েব ঘুরে ঘুরে এই তথ্য আনে ক্রাউলার। 

গুগলের এই ক্রাউলারকে গুগল বট বলা হয়। অনেকেই একে স্পাইডার, রোবট এমন নামেও ডাকে। 

প্রত্যেক সার্চ ইঞ্জিনের নিজস্ব কিছু ক্রলিং রোবট থাকে। 

২য় ফেইজ হচ্ছে ইন্ডেক্সার। এর কাজ হচ্ছে ক্রাউলারে আনিত তথ্য ও ওয়েব সাইটের সকল url  সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন ইনফরমেশন থরে থরে টপিক অনুযায়ী তাঁর ইনডেক্স সার্ভারে জমা রাখা। 

Algorithm অনুযায়ী প্রতিটা সাইটকে মার্কিং করে সার্চ ইঞ্জিন, ইউজারের কুয়েরি টপিক অনুযায়ী পূর্ব নির্দেশিত রাঙ্কিং ফ্যাক্টর দিয়ে ওয়েব সাইটের কন্টেন্ট, পপুলারিটি  বিবেচনা করে গুগলে রাঙ্ক করে। এই জায়গাটাকে Rangking System বলা হয়। 

যেসব সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয় অনুসরণ করে একটি ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে অর্থাৎ সেরা দশে স্থানে কোন ওয়েব সাইটকে স্থান দেয় তাই হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর। 

সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাংকিং ফ্যাক্টর বিভিন্ন রকমের হয়, যা নিম্নরূপ-

  • ১। কন্টেন্ট ফ্যাক্টর
  • ২। ডোমেইন ফ্যাক্টর
  • ৩। ওয়েবসাইট ফ্যাক্টর
  • ৪। অন পেজ এসইও ফ্যাক্টর 
  • ৫। ব্যাকলিংকস ফ্যাক্টর

এই ফ্যাক্টর গুলো বিবেচনায় নিয়েই মূলত সাইট র‍্যাংক হয়। 

আশা করি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে সার্চ ইঞ্জিন কাজ করে। 

এই যে ইউজার যে কুয়েরি করে সার্চ ইঞ্জিনে তথ্য খুঁজে ওয়েব সাইটে ভিজিট করে এই গুলোকে ওয়েব মাস্টারিও ভাষায় বলা হয় কিওয়ার্ড KEYWORD

এই কিওয়ার্ড ব্যবহার করেই ইউজার নানান তথ্য খুঁজে।

আবার ওয়েব সাইট গুলো এই কিওয়ার্ড গুলো ই (এই কিওয়ার্ড ইউজাররা ব্যবহার করে তাদের সাইটে আসতে এজন্য এগুলোকে তাঁরা তাদের নিজেদের সাইটে ব্যবহার করে ম্যাচ করে, এটা মূলত একটা এসইও ম্যাকানিজম) সাইটের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করে এসইও করা নিশ্চিত করে। 

এসইওতে মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজারদের তিনটা গুরুত্বপূর্ন কাজ

কিওয়ার্ড রিসার্চ 

অনপেইজ এসইও 

ও অফপেইজ এসইও 

আশা করছি 

Core Concepts of SEO

What are search engines? What is SERP?

What are Search Engines Algorithms?

Major functions of a search engine

What are keywords? SEO Ranking Factors

উপোরক্ত টপিক গুলো সবার ক্লিয়ার হয়েছে। 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *